পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। যার প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীন ইসলামের সই করা আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বুধবারও (২৫ সেপ্টেম্বর)। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অপরদিকে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায়, ৬৭ মিলিমিটার।