যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে

0

গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে একাই অশান্ত করে রেখেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ১ বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছেন গাজায়। সেই রক্তপিপাসা মেটার আগেই মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চাইছেন আরেক দেশ লেবাননকে। সেখানে দিনে রাতে ফেলা হচ্ছে টনকে টন বোমা। চোখের পলকেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আকাশচুম্বি সব ভবন। একযোগে গাজা এবং লেবাননে হামলা চালিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি নেতানিয়াহু। হায়েনার মতো চোখ পড়েছে আরেক মুসলিম দেশ ইয়েমেনেও। সেখানেও বিমান হামলা চালিয়েছে যাচ্ছেন তিনি।

যুদ্ধবাজ এই এক নেতানিয়াহুকে কোনোভাবেই দমাতে পারছেন না বিশ্বনেতারা। তার এই বেপরোয়া আচরণের কাছে খেই হারিয়ে ফেলছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব নেতা। কাউকে তোয়াক্কা করছেন না নেতানিয়াহু। এমনকি খোদ জাতিসংঘও মোমের পুতুলের ভূমিকায় রয়েছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দেশে এমন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরির মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে আমেরিকা। তাদের পাঠানো অস্ত্র আর বোমা নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে আবাসিক এলাকাগুলোতে। যদিও ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি আর হিজবুল্লার অবস্থান লক্ষ্য করেই কেবল হামলা চালাচ্ছে।

তেলআবিবের এমন হামলায় অবশ্য এখনো মুখ খোলেনি সৌদি আরবের মতো ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ। অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, গাজা, লেবানন, ইয়েমেনের মুসলিমদের কান্না পৌঁছাচ্ছে না সৌদি আরবের কানে। শুধু সৌদিই নয়, কুয়েত, কাতার, ওমান এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতও তেমন আওয়াজ তুলছে না ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

গত বছরের ৭ অক্টবর গোটা বিশ্বকে অবাক করে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লেবানন এবং ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীও। সেই থেকে শুরু ইসরায়েলি তাণ্ডব। সময়ের সাথে বাড়ছে যুদ্ধের পরিধিও। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া যেন কারও কিছু করার নেই। অবশ্য দায় এড়াতে নাম মাত্র বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন এরদোয়ানসহ অনান্য বিশ্বনেতারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.