ইলিশের মৌসুম এখন। মাদারীপুরের মাছ বাজারে ইলিশের আধিক্য দেখা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সপ্তাহখানেক ধরে দামও কমেছে কিছুটা। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ইলিশের সিজন হওয়ায় দামও কমেছে। তবে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতাদের মুখ দাম কমার খবরে উজ্জ্বল হয়ে উঠেনি! ক্রেতাদের দাবি, ইলিশের দাম আরও কমা উচিত। যাতে করে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং খেটে খাওয়া মানুষের হাতের নাগালে থাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকার ভেদে মাছের দাম কেজিতে দেড় থেকে দুইশ টাকা কমেছে। শনিবার মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছ বাজারে ইলিশের বেশ আধিক্য। ব্যবসায়ীদের ঝুড়িতে ভর্তি নদীর রুপালি ইলিশ। এলইডি লাইটের আলোতে ঝকঝক করছে ইলিশের শরীর। পদ্মা নদীর ইলিশ, বরিশাল এবং চাঁদপুর থেকে আসা ইলিশ আলাদা করে সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের কাছে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পদ্মার ইলিশ। পদ্মার ইলিশ অপেক্ষাকৃত তাজা! এবং স্বাদেও ভালো। তবে পদ্মা নদীর ইলিশের আকার কিছুটা ছোট। অন্যদিকে বরিশাল থেকে আসা ইলিশের আকার বড়। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশও রয়েছে। বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশিই। বর্তমানে মাছের সিজন চলায় বাজারে মাছের পরিমাণও বেশি। ফলে দাম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমের দিকে। বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, দাম কিছুটা কমলেও তা আশানুরূপ নয়। দাম আরও কমা উচিত। আকার অনুযায়ী সর্বনিম্ন তিন/চারশ টাকা কেজি হলে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সহজেই মাছ কিনতে পারবে।